এই গরমে রোদে প্রচুর ছোটাছুটি করতে হচ্ছে ফলেদীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখছেন? এ ছাড়া গরমের কারণে জননতন্ত্রের চারপাশে ঘাম জমে ইউরিনে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ, অতিরিক্ত গরমে মূত্রনালি ও মূত্রথলিতে খুব দ্রুত রোগ–জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।
উপসর্গ
১. অনেক সময় প্রশ্রাবের সঙ্গে ফোঁটা ফোঁটা রক্তও যেতে পারে।
২. লালচে, হলুদাভ বা ঘোলাটে রংয়ের প্রস্রাব। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ।
৩. হঠাৎ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও ব্যথা।
৪. সন্ধ্যার পর থেকে জ্বর জ্বর ভাব, কখনো তীব্র জ্বর, তলপেট ব্যথা, দুর্বল লাগা, বমি বমি ভাবও থাকতে পারে।
৫. খাবারে অরুচি, উরুর গোড়াতেও ব্যথা থাকতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই মনে হয় প্রস্রাব পরিষ্কারভাবে হচ্ছে না, দেহের ভেতর জমে আছে।
যা করতে হবে
১. এই আবহাওয়ায় প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া ডাবের পানি, ফলের রস, কম মসলা দেওয়া ঝোলের তরকারি, স্যুপ কমাবে পানিশূন্যতা।
২. গরমে রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর শাকসবজি, মৌসুমি ফল খেতে হবে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩.দীর্ঘসময় প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।
৪. এই গরমে সপ্তাহে অন্তত এক দিন গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা স্যাভলন বা ডেটল ব্যবহার করবেন।
৫. নিয়মিত গোসল করতে হবে। পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার, টয়লেট শেষে ভালোভাবে পরিচ্ছন্ন হওয়াটা ভীষণ জরুরি। টয়লেটের মেঝে, প্যান, কমোড নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।